গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সর্বস্তরের মানুষ নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথমে হলি আর্টিজানের ভেতরে যান জাপানের রাষ্ট্রদূত। তিনি কিছুক্ষণ ভেতরে থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাইরে আসেন। এছাড়া ইতালিসহ আরো কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সেদিনের নিহতদের স্বজনরাও আসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। সাধারণ পথচারীও তাদের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নিরবে দাঁড়িয়ে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানান তারা। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও ছিলো এই শোকের কাতারে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও নিহতদের স্মরণ করা হয়।
হলি আর্টিজানে হত্যাযজ্ঞের দিনটিতে জোরদার করা হয়েছে গুলশানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় একদল জঙ্গির হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন প্রাণ হারান। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে হলি আর্টিজানের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।
জঙ্গি হামলা ও কমান্ডো অভিযানের কারণে রেস্তোরাঁর সীমানা দেয়াল ও ভবনের বেশির ভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেতরে থাকা মালামালও নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ পাঁচমাস বন্ধ থাকার ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর বাড়ির মালিকের কাছে রেস্তোরাঁটি বুঝিয়ে দেয় পুলিশ।
- বিভীষিকার ভয়ঙ্কর সেই রাত, রক্তাক্ত ভোর
- কিছু সময়ের জন্য উন্মুক্ত হবে হলি আর্টিজান
- এই হলি আর্টিজান, সেই হলি আর্টিজান
- হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিট শিগগিরই : মনিরুল ইসলাম
এমকে